A few tips for newcomers in Germany

                                  

বহু ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেওয়ার পর অবশেষে পেয়ে গেলেন জার্মানিতে প্রবেশের লাইসেন্স। এবার শুরু আরেক ভিন্ন যুদ্ধ, এখানে টিকে থাকার লড়াই। প্রথমদিকে এখানে এসে মোটামুটি সবাই কিছুটা দিশেহারা হয়ে যায় সম্পূর্ণ আলাদা এক কালচার, ওয়েদার এবং ভাষায়। যাদের ডয়েচ লেভেল একেবারে শূণ্য কিংবা প্রাথমিকভাবে এখানে পাশে থাকার মত কেই থাকে না তাদের জন্য দিনগুলো হতে পারে বেশ কষ্টসাধ্য। তখন মনে হতে পারে, "দেশেই তো ভালো ছিলাম"

এরকম সিচুয়েশন যাতে না ফেস করতে হয় তার জন্য আমি মনে করি প্রোপার প্রস্তুতি নিয়ে আসা উচিত।
যেমন, কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করব, কোন ব্যাংক ভাল হবে? 
তার চেয়েও সর্বপ্রথম যেটার প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক সেটা হলো বাসা ম্যানেজ করে আসা। ভিসা পাওয়ার পর একটু সময় নিয়ে হলেও ভাল করে খুঁজে বাসার ব্যবস্থা করে আসবেন। বিশেষ করে আপনি যদি Munich/Ingolstadt/Hamburg /Frankfurt/Berlin এসব এলাকায় আসেন, অনেক আগে থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করবেন। এই সিটি গুলো শুধু এক্সপেন্সিভ-ই না,এখানে চরম হাউজিং ক্রাইসিস চলে।
বাসা নেওয়ার সময় অবশ্যই জিজ্ঞেস করে নিবেন সে আপনাকে Anmeldung এর ডকুমেন্ট দিতে পারবে কিনা। কারণ সিটি রেজিষ্ট্রেশন না করলে 

i.আপনি ম্যাক্সিমাম ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন না
ii. ট্যাক্স আউডি পাবেন না (জব স্টার্ট করতে পারবেন না)
iii. ভিসা এক্সটেন্ড করতে পারবেন না
iv. আপনার কাছে কোন চিঠিপত্র আসবে না, লেটার বক্সে আপনার নাম না থাকলে।

ফ্লাই করার আগে কাউকে ঠিক করে রাখবেন এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার জন্য (If You're coming to Munich, feel free to text me, I'll try to help) প্রথম দিকে সবকিছু কনফিউজিং লাগতে পারে। এয়ারপোর্ট থেকে আপনারা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কিভাবে কি বাস-ট্রেন কানেকশন আছে আসার আগেই চেক করে নিবেন Maps/DB Navigator app থেকে। Sunday তে ফ্লাইট না নেওয়ার চেষ্টা করবেন, উইকেন্ডের টিকেট প্রাইস একটু বেশি এক্সপেন্সিভ হয়, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, জার্মানিতে সবকিছুই ক্লোজড সানডেতে, তাই আসার পর জরুরি কিছু কিনার প্রয়োজন হলে ঝামেলায় পড়বেন। ল্যান্ড করার পরই এয়ারপোর্টের WiFi কানেক্ট করে আপনার গন্তব্যের কানেকশন সার্চ করে নিবেন। আর যদি ICE ট্রেন নিতে হয়, তাহলে কাউকে দিয়ে আগেই টিকেট কেটে রাখবেন। ফ্লাইট ল্যান্ডিং টাইম হতে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা পরের ট্রেনের টিকেট নিবেন যাতে ফ্লাইট ডিলে হলে ট্রেন মিস না হয়।
ভুলেও টিকেট ছাড়া ট্রেনে উঠবেন না, ধরা পড়লেই ৬০ ইউরো জরিমানা। আর যদি আগে থেকে টিকেট না কেটে রাখেন, স্টেশনেই ডিবির টিকেট মেশিনে ইউরো দিয়ে কিনতে পারবেন, তবে দাম তখন অনেক বেশি পড়বে।

বাসায় আসার পর আশেপাশে Penny/LIDL/ALDI তে গিয়ে একটা প্রিপেইড সিম কার্ড কিনবেন এক মাসের জন্য। (Recommended - Aldi Talk, 6GB at 9.99€ & unlimited calls) সিম কার্ড ছাড়া আপনি এখানে অন্ধ। সিম কার্ড কিভাবে সেটআপ করতে হয় সেটা ইনস্ট্রাকশন দেওয়া থাকবে ওখানে। ওরা ভিডিও কল দিয়ে ভেরিফাই করবে।

আসার আগে আরেকটা ব্যাপার জেনে আসবেন যে আপনার সিটিতে সিটি রেজিষ্ট্রেশন এপয়েন্টমেন্ট পেতে কেমন সময় লাগে। এসেই দ্রুত এটা করার চেষ্টা করবেন। মিউনিখে সেইম ডে তে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে করে ফেলা যায়, কিছু শহরে এক মাসও অপেক্ষা করতে হতে পারে।

এরপরের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ - Bank Account. 
সাধারণত সব বড় বড় জার্মান ব্যাংকগুলোয় একাউন্ট ওপেন করতে বেশ কিছু প্রসিডিওর এর মধ্যে যেতে হয়, এবং বেশ কিছুদিন সময়ও লেগে যায়।
তাই প্রথমদিকে সবচেয়ে কনভেনিয়েন্ট ওয়ে হলো অনলাইন ব্যাংকিং। এর মধ্যে অন্যতম VIVID. এখানে আপনাকে ভিডিও কলে ভেরিফাই করবে সব ডকুমেন্টস আপলোড দেওয়ার পর। তবে সবচেয়ে সহজ এবং ইউজফুল হলো Revolut (keep in mind, It's a Lithuanian Bank,  not German) 
আপনার ভিসা আর ফোন নাম্বার থাকলে এটা ওপেন করতে পাঁচ মিনিট লাগবে। এটা দিয়েই আপনি সব কাজ চালাতে পারবেন যতদিন না জার্মান ব্যাংক একাউন্ট হচ্ছে। 
 এরপর আস্তেধীরে দেখে Commerzbank /Sparkasse/Deutsch Bank এ একাউন্ট ওপেন করবেন। আমি Revolut এখনো ইউজ করি। এটায় আপনি আপনার ব্লকের টাকাও আনতে পারবেন।
প্রথমেই ব্যাংক একাউন্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা হলো 49€ টিকেট। এটা আপনি মেশিন থেকে নিতে পারবেন না। DB app থেকে নিতে হবে, যার জন্য কোন একটা EU ব্যাংক ডিটেইলস দিলেই হবে। চিন্তা নেই, আপনার একাউন্টে টাকা না থাকলেও আপনার Deutschland Ticket চলে আসবে, টাকা কাটবে পরবর্তী মাসের ৮-১০ তারিখের দিকে।
যদি আপনার সেমিস্টার টিকেট না থাকে এবং ৪৯€ টিকেট (বাভারিয়াতে 29€ স্টুডেন্টদের জন্য) এক্টিভেট না করে থাকেন, তাহলে প্রথমদিকে আপনার সিটির জন্য Daily Ticket কিনে নিবেন, এতে অনেকটা খরচ বাঁচবে)

কিছু ফ্রেন্ডলি এডভাইস-
*এসেই প্রথম দিন ভার্সিটি যেতে হবে না, ২-১দিন সময় নিয়ে একটু পরিবেশের সাথে পরিচিত হয়ে নিয়ে এরপর যান
*আসার আগে ওই সিটির বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন, যেকোনো প্রয়োজনে তাদেরকেই পাশে পাবেন।
*আশেপাশে ঘুরে বেড়ান, যদিও এখনি মোটামুটি ঠান্ডা পড়ছে, তবে Autumn এর ইউরোপ কালারফুল, ঘুরে বেড়ান, ভাল লাগবে।
*ফ্রেন্ডস বানান, মানুষের সাথে পরিচিত হোন, নিজেকে ব্যস্ত রাখেন যাতে হোমসিকনেস ফিল না হয়।
* রান্না করা শিখে আসুন

More-
If you want groceries at a cheap price,  find PENNY/ALDI/LIDL/NORMA
EDEKA/REWE are expensive. 

DM/Rossman - for cosmetics/printing documents 

Emergency number - 112

রাস্তাঘাটে কোন সমস্যায় পড়লে/কোন জায়গা না চিনলে অবশ্যই আশেপাশের মানুষের থেকে হেল্প চাইবেন। 

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,  এখানে চাবি হারানো বিশাল ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে। নতুন চাবির জন্য ২৫০€ দিতে হতে পারে, এবং ল্যান্ডলর্ডের জন্যও ব্যাপারটা ঝামেলার,  আপনার জন্য তাকে অনেক গুলো চাবি চেঞ্জ করতে হবে। ভিতরে চাবি রেখে বের হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না, কিন্তু এখানে দরজাগুলা অটোমেটিক লক হয়ে যায়। তাই সাবধানে থাকা উচিত সবসময়।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url